রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমার দিন। এ দিনের বিশেষ কিছু ইবাদত আছে, নবী (সা.)-এর জীবনে সেসব বিষয় ফুটে ওঠে। নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
এক. জুমাবারের ফজরের তিলাওয়াত করা। নবী করিম (সা.) শুক্রবার ফজরের নামাজে সুরা আস-সিজদা এবং সুরা আল-ইনসান তিলাওয়াত করতেন। সহিহ বোখারি : ১০৬৮
দুই. এদিন বেশি পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়া।
তিন. ইসলামের যেসব ফরজ বিধান আছে, এর মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জুমার নামাজ। আরাফার দিবসের পর এদিনই সবচেয়ে বেশি মানুষ একসঙ্গে সমবেত হয়। যারা জুমার নামাজকে অলসতা কিংবা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ছেড়ে দেয়, তাদের হৃদয়ে আল্লাহ মোহর মেরে দেন।
চার. এই দিনে বিশেষভাবে গোসল করার তাগিদ এসেছে।
পাঁচ. অন্যদিনের চেয়ে এদিন বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম।
ছয়. মিসওয়াক করা এবং প্রত্যুষে নামাজের জন্য জাগ্রত হওয়া।
সাত. ইমাম জুমার নামাজে আসার পূর্ব পর্যন্ত নামাজ, জিকির ও তিলাওয়াতে রত থাকা।
আট. খুতবার সময় সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকা।
নয়. সুরা কাহফ পড়া।
দশ. জুমার নামাজের নির্ধারিত সুরা পাঠ করা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদের নামাজে ও জুমার নামাজে ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা’ ও ‘হাল আতা-কা হাদিসুল গা-শিয়াহ’ সুরাদ্বয় পাঠ করতেন। সহিহ মুসলিম : ১৯১৩
এগারো. পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর কাপড় পরিধান করা।
বারো. মসজিদে সুগন্ধি লাগানো।
তেরো. এদিন মহান রবের পক্ষে গুনাহ মাফের বারি বর্ষিত হয়।
চৌদ্দ. জুমার দিন কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়।
পনেরো. বিশেষ সময়ে দোয়া কবুল হয়। বেশির ভাগ আলেমের মতে, সে সময়টি আসরের পর থেকে নিয়ে মাগরিবের আগ মুহূর্ত।
ভয়েস/আআ